প্রস্তাবিত ইকোপার্কটি দ্রুত বাস্তবায়ন করুন

নীলফামারীর জলঢাকায় ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে।উপজেলার গোলনা ইউনিয়নে ২০২০ সালে জেলা প্রশাসক ও সামাজিক বন বিভাগ রংপুর আয়োজিত সামাজিক বনায়নে উপকার ভোগীদের মাঝে চেক বিতরন অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী সাহাব উদ্দিন এ কথা বলেন।পরে তিনি গোলনা ইউনিয়নে ৭৬ একর জমির উপর প্রস্তাবিত ইকোপার্ক এলাকা'টি পরিদর্শন করেন।সেসময় মন্ত্রীর সাথে প্রশাসনিক কর্মকর্তা,জলঢাকা ও ডিমলার সংসদ সদস্য'রা সহ স্হানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রীর ঘোষণার প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও প্রস্তাবিত এলাকা'টিতে এখনো কোনো কাজের "ক" শব্দটিও শুরু হয়নি।প্রস্তাবিত ইকোপার্ক'টির কাজ শুরু না হওয়ায়,একসময় স্হানীয় বাসিন্দা'রা মানববন্ধন করেছিলেন।তারপরেও অগ্রগতি দেখতে না পেয়ে তারা ধরেই নিয়েছেন এখানে আর ইকোপার্ক নির্মাণ হবে না।এই প্রস্তাবিত ইকো পার্কটি নির্মান হলে শুধু ঐ অঞ্চল নয়,ডোমার-ডিমলা-জলঢাকা'সহ সর্বোপরি উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের দ্বার খুলে যাবে।
সম্প্রতি প্রস্তাবিত ইকোপার্ক এলাকা'টি গিয়ে দেখা যায়,হাতে গোনা কয়েকটি গাছ'সহ পুরো এলাকা শুকনো হয়ে পরেছে।বর্ষাকালে কিছুটা প্রাণ ফিরেও পেতে পারে।যা গাছপালা আছে,সবগুলোই হুমকির সম্মুখীন।উদ্ভিদ বা পশু-পাখির আবাস-স্থান বলতে গেলেই নেই।
অন্যদিকে এর আশে-পাশে তিস্তা সেচ এলাকায় চাষাবাদ বৃদ্ধিতে সেচ খালগুলো সংস্কারের জন্য খালের উভয়ধারে সামাজিক বনায়নের প্রায় সকল গাছ নিধন করা হয়েছে।যদিও পাউবো নতুন করে গাছের চারা রোপন করার কথা বলেছে,তারপরেও প্রাকৃতিক বির্পযয়সহ জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর'সহ দায়িত্ববান'দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি,সেই অঞ্চলে প্রস্তাবিত ইকোপার্ক'টি দ্রুত বাস্তবায়ন করে হুমকির সম্মুখীন ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন,পরিবেশ সংরক্ষণ ও স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন,পরিকল্পিত ইকো-ট্যুরিজম শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে পরিবেশ'কে রক্ষা করার ব্যবস্হা গ্রহণ করুন।
▪️বিধান চন্দ্র রায়,
সহ- সম্পাদক, দ্যা ডেইলি ইমেজ বিডি।