দীপু নাম্বার টু,শৈশবের ভালোবাসা

Jul 14, 2024 - 20:29
দীপু নাম্বার টু,শৈশবের ভালোবাসা

বিনোদন ডেস্কঃ

পৃথিবীতে জন্মানোর পর আস্তে আস্তে যখন একটি শিশু বড় হয়ে উঠতে থাকে, তখন তাকে খুব স্বাভাবিকভবেই বহু ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে কোনো কোনো ঘটনা হয়তো বেশ রসালো, আবার কোনোটা একটু তিক্ত। অনেক সাফল্যগাঁথার পাশাপাশি থাকে মর্মান্তিক বেদনা। ধীরে ধীরে শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে যায়। তবে পেছনে পড়ে থাকে কিছু স্মৃতি। সেসব স্মৃতির কোনো অংশ মনে পড়লে যেমন মনের অজান্তেই আমরা হেসে উঠি, ঠিক তেমনি করেই কোনো কোনো স্মৃতির রোমন্থন করে শিউরে উঠি।

মানুষের ছোটবেলার স্মৃতির একটি বিশাল অংশ জুড়ে থাকে বেড়ে ওঠার সময়কার বন্ধুরা, খেলার সাথীরা। ক্লাসের ফাঁকে ছোট ছোট খুনসুটি, টিফিনের সময় বন্ধুর খাবার নিয়ে লুকোচুরি, ফুটবল কিংবা ক্রিকেট খেলার মাঠের দুরন্তপনা কোনো কিছুই বাদ যায় না স্মৃতির পাতা থেকে। দুরন্ত ডানপিটে বন্ধুদের দাপুটে স্বভাবের ভিড়ে শান্তশিষ্ট ঘরকুনো বন্ধুদের কথাও হারায় না স্মৃতির হার্ডড্রাইভ থেকে। তবে বন্ধুরা যে যেমনই হোক না কেন, সে বন্ধুত্ব ছিল নিষ্পাপ ও জলের মতোই স্বচ্ছ। এই বিভক্ত পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্ত বাঁধন ছিল এই বন্ধুত্ব। আর এমনই একঝাঁক বন্ধুত্বের গল্পে ভরপুর, দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ একটি স্মৃতির নাম ‘দীপু নাম্বার টু’।

চলচ্চিত্রের দৃশ্যে দীপু, তারিক ও তার বন্ধুরা; Image Source: Monon Cholocchitro

নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেয়া প্রায় প্রতিটি শিশুর জীবনের একটা সময় পর্যন্ত তার সবচেয়ে প্রিয় চলচ্চিত্রের স্থানটি দখল করে রাখে ‘দীপু নাম্বার টু’। ছোটবেলায় এই চলচ্চিত্র দেখতে দেখতে কতবার যে দীপুর সাথে রাঙ্গামাটিতে ঘুরে আসা হয়েছে তার যেমন কোনো হিসেব নেই, ঠিক তেমনি দীপুর মতো রোমাঞ্চকর এবং দুঃসাহসিক অভিযানে দীপুর স্থলে নিজেকে কল্পনা করা দর্শকের সংখ্যাও নেহায়েৎ কম নয়। এমনকি এখনো অনেক তরুণ-তরুণীর মনের কোনো এক কোণে জমে থাকা এক চিলতে আবেগের নাম ‘দীপু নাম্বার টু’।

হবেই বা না কেন? কারণ এটি শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়। এর মধ্য দিয়েই বিরচিত হয় ছোটবেলার স্কুলের স্মৃতি, বন্ধুদের সাথে ছোট ছোট যুদ্ধের পরিস্থিতি, দল বেঁধে খেলার আনন্দ, অজেয়কে জয় করার অদম্য অভিলাষের চিত্র, মা-বাবার ভালবাসাকে একটু গভীরভাবে উপলব্ধি করার ক্ষেত্রসহ আরো অনেক কিছু। সব কিছুর মিশেলে আমাদের অন্তরের মণিকোঠায় জায়গা করে নেয়া একটি নাম ‘দীপু নাম্বার টু’।