সাধারণ কাজে মানুষ কি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তির কাছে হেরে গিয়েছে?
অনলাইন ডেস্কঃ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আর আগামীর প্রযুক্তি নয়। ঘোর বাস্তবে পরিণত হয়েছে তা। এতদিন মনে করা হচ্ছিল খুব দ্রুতই সাধারণ মানুষের জায়গা খেয়ে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর এবার গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ ডিনের কথায় বাড়ছে আতঙ্ক। তবে কি ইতিমধ্যেই আমাদের মতো সাধারণ মানুষ হেরে গিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি ইতিমধ্যেই সাধারণ কাজে মানুষকে ছাড়িয়ে গিয়েছে? এই নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান বিজ্ঞানী। তাঁর মতে, দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ কাজেই এআই এখন সাধারণ মানুষের চেয়ে ভাবে করছে।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে জেফ ডিন বলেন, শারীরিক কাজ বাদ দিলে, একজন গড়পড়তা মানুষকে হঠাৎ কোনও নতুন কাজ দিলে তিনি যতটা ভাল করবেন, আধুনিক এআই মডেলগুলো তার চেয়ে অনেক ভালভাবেই সেই কাজ করছে।
তবে তিনি এটাও বলেন যে, এর মানে এমন নয় যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবজান্তা হয়ে গিয়েছে। ডিন বলেন, ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখনও অনেক কিছুই করে উঠতে পারে না। একে এখনও কোনও বিষয়েই ‘বিশেষজ্ঞ’ বা ‘বিশ্বসেরা’ হয়ে উঠতে পারেনি’। এর অর্থ হল কিছু কাজে এআই মানুষের চেয়ে ভাল পারফর্ম করলেও জ্ঞান বা দক্ষতার দিকে এখনও পিছিয়েই রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
জেফ ডিনের মতে, আগামী কিছু বছরের মধ্যে এআই বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষণায় অভাবনীয় গতি আনবে। অটোমেটেড মেশিন লার্নিং বা ডেটা অ্যানালিসিসের মতো প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হবে।
তবে ‘আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স’ বা মানুষের মতো সার্বিক বুদ্ধিমান এআই নিয়ে তেমন কিছুই বলেননি তিনি। আর এর কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, এই AGI-এর কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। মজার বিষয় হলো, তাঁরই উচ্চতর কর্তৃপক্ষ, ডিপমাইন্ডের সিইও ডেমিস হাসাবিস আবার মনে করেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই AGI চলে আসতে পারে। সুতরাং, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে একমত যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ এসে গিয়েছে। তবে বিতর্ক এখন শুধু তার চূড়ান্ত ক্ষমতা ও কতদিনের মধ্যে তা সম্পূর্ণ ভাবে ছড়িয়ে পড়বে তার সময়সীমা নিয়ে।