নীলফামারীর জলঢাকায় বেহাল সড়কে যান চলাচল সীমিত
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের তিন বট থেকে একই উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের বালাপুকুর পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে ওই সড়কে চলাচলকারীদের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতিদিনই ওই পথে দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করত; কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্তের। যানবাহন চলছে খুব কম। রিকশা–ভ্যানও চলছে ঝুঁকি নিয়ে। ওই সড়কের গড় ধর্মপাল গ্রামের বাসিন্দা মো. মহির উদ্দিন বলেন, ‘বালার (বালু) ট্রাক যায়া যায়া রাস্তাটাক শ্যাষ করি দিল। ট্রাক যাবার মানা কইরবার যায়া কেস–কাচারিও হইছে। এলা এই রাস্তা দিয়া ভ্যান–রিকশাও কম চলে।’
একই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা মোকবুল হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তা নিয়া হামরা তিন বছর থাকি সমস্যাত আছি। ৫ টাকার ভ্যানভাড়া ২০ টাকা দিবার নাগে। তা–ও ভ্যান–রিকশা কম চলেছে। প্রতিদিন এই রাস্তাত ভ্যান–রিকশা দুর্ঘটনা ঘটেছে। একবার এই রাস্তা দিয়া কেউ গেলে আর আসির চায় না। রাস্তাটা ঠিক করা খিব দরকার।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষার সময় সড়ক কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে থাকে। আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালিতে একাকার হয়। রাস্তার ওপর থাকা সেতু–কালভার্টগুলো ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বিজেন বাবুর ঘাট ও বালাপুকুর সেতুর নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বড় ট্রাকে এ পথে নেওয়ার কারণে সড়কটির এমন দশা হয়েছে। এখন সড়কটি সংস্কারে কারও কোনো উদ্যোগ নেই।
সড়কটির দুরবস্থার কথা স্বীকার করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জলঢাকা উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মোনায়েম হোসেন বলেন, এ সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় আট কিলোমিটার। সড়কটির খেরকাটি বাজার থেকে বালাপুকুর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এবং খেরকাটি থেকে তিন বট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার অংশ সংস্কারের প্রস্তাব জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সড়কের সংস্কারসহ একটি কালভার্ট ও দুটি ইউড্রেন করা জরুরি। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। বরাদ্দ পেলে মেরামত কাজ শুরুর প্রক্রিয়া করা হবে।
জলঢাকা উপজেলা প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দাস বলেন, সবরাদ্দ পেলে দ্রুত সড়টি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই কথা বলেন এলজিইডির নীলফামারী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ হাসান।