রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৪ উদযাপিত
রাবি প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর এই আয়োজনে পর্যটনের বৈশ্বিক গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মোঃ এনায়েত হোসেন, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু সাদেক মোঃ কামরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মাজেদুল ইসলাম।
প্রধান বক্তা অধ্যাপক ড. মোঃ এনায়েত হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে এবং বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা অপরিসীম। সঠিক পরিকল্পনা ও উন্নয়নের মাধ্যমে এই খাতটি দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের পর্যটন আকর্ষণগুলো বিশ্বব্যাপী প্রচারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এজন্য আমাদের নতুন প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. আবু সাদেক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, পর্যটন শুধু একটি শিল্প নয়, এটি শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। পর্যটনের মাধ্যমে আমরা জাতি, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করতে পারি। এই শিল্পটি আন্তঃসংস্কৃতির বিনিময় এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, পর্যটন শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। নতুন উদ্যোক্তা ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তারা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সক্ষম। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে পর্যটন সেক্টরে উদ্ভাবনী চিন্তা ও নেতৃত্বের গুণাবলি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে এই খাতের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।
সভাপতি ড. মোহাম্মদ মাজেদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৪ উদযাপনে হোটেল রয়েল রাজ এবং সাউথ এশিয়ান ট্যুরস-এর সহায়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মচারী এবং সকল শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় এই আয়োজনটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা তাদের সবাইকে এই আয়োজনকে সফল করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনুষ্ঠান শুরু হয় দুপুর ২:৩০ মিনিটে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে। এরপর প্রধান অতিথি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কেক কাটা হয়। এছাড়াও, র্যালি, ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন আনন্দঘন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মচারীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও একতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।