গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনীর বিবৃতি: জনগনকে শান্তি ও সহানুভূতির আহ্বান
দ্যা ডেইলি ইমেজ বিডি ডেস্কঃ গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বানে আয়োজিত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বিবৃতিতে জানানো হয়, সমাবেশ চলাকালীন একদল উশৃঙ্খল জনতা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন। সরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া, হামলাকারীরা সমাবেশস্থলের মঞ্চে ও জেলা কারাগারে আক্রমণ চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। সেনাবাহিনী হামলাকারীদের বারংবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও তারা ককটেল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সাধারণ জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়।
বর্তমানে গোপালগঞ্জে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং প্রশাসনের জারিকৃত কারফিউ কার্যকর রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থাগুলো যৌথভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে।
সেনাবাহিনী গোপালগঞ্জের জনগণের ধৈর্য ও সহযোগিতার প্রশংসা করে এবং গুজব কিংবা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর।