মার্কিন শুল্কে স্বস্তি, ভারতের সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তা

Aug 14, 2025 - 11:11
মার্কিন শুল্কে স্বস্তি, ভারতের সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তা

দ্যা ডেইলি ইমেজ বিডি প্রতিবেদকঃ

মার্কিন শুল্ক কার্যকর হয়েছে ৭ আগস্ট থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত পণ্যের শুল্কহার নিয়ে বাংলাদেশ শুরুতে স্বস্তিতে থাকলেও এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ভারত। শেষ সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দেশটির শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বরাবরই চেয়েছেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় শুল্কহার বেশি না হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর শুল্কহার ২০ শতাংশ, যা ভারতের তুলনায় অনেক কম। পাকিস্তানের শুল্কহারও কিছুটা কম—১৯ শতাংশ। ফলে ভারতের বিপরীতে বাংলাদেশ আপাতত প্রতিযোগিতায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

তবে ভারতের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত নতুন দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে ভারত হঠাৎ করে বাংলাদেশি চার ধরনের পাটপণ্যের স্থলবন্দর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এগুলো হলো—পাট ও পাটজাতীয় কাপড়, পাটের দড়ি বা রশি, পাটজাতীয় দড়ি বা রশি, এবং পাটের বস্তা বা ব্যাগ। এখন থেকে এসব পণ্য কেবল মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।

বিশ্লেষকদের মতামত ও সম্ভাব্য প্রভাব

বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শুল্কহার বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি হবে। বিশেষ করে পোশাক, পাটপণ্য ও কিছু কৃষিপণ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত হতে পারে। তবে ভারতের আমদানি বিধিনিষেধ এ সুবিধাকে আংশিকভাবে খর্ব করতে পারে, কারণ ভারতের বাজারও বাংলাদেশের জন্য বড় একটি রপ্তানি ক্ষেত্র।

ভারতের এ পদক্ষেপে স্থলবন্দর দিয়ে পাটপণ্য রপ্তানিতে ব্যয় ও সময়—দুটোই বাড়বে। ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ওপর এর চাপ বেশি পড়বে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দুই দেশের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের চলমান টানাপোড়েনের অংশ, যা দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানি খাতকে চাপে ফেলতে পারে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এখনই কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা জরুরি। পাশাপাশি বিকল্প বাজার খোঁজা এবং পণ্য বৈচিত্র্য বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।