দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন নীলফামারীর বিএনপির সাবেক এমপি তুহিন

মো: জাহিদুল ইসলাম,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের মাটিতে পা রাখছেন নীলফামারী-১ ডোমার ডিমলা আসনের বিএনপির সাবেক এমপি ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
নীলফামারী ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রিয় নেতা প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জন্য অপেক্ষা করছেন নীলফামারীসহ ডোমার ডিমলা এলাকাবাসী। বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা নীলফামারী-০১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের মানুষরা এখন বেশি অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।
দলীয় নেতা কর্মীরা বলছেন, প্রিয় নেতা তুহিন ভাই’র উপর নির্ভর করছে জেলার সবকিছু কারণ তার হাত ধরেই পরিবর্তন ঘটবে রাজনীতি ও উন্নয়নের চাকা। তিনি করেন মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অষ্টম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য না হয়েও ডোমার-ডিমলায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুতায়ন, নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণসহ ব্যাপক কর্মকান্ড সম্পাদন করেন তিনি।
ডিমলা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আশিকুল ইসলাম লেমন বলেন, তৃণমুলে দলকে শক্তিশালী করেছেন তুহিন ভাই। তিস্তা নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণ, গ্রোঁয়েন নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করেছেন। তিনি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন পক্ষ্য পাতিত্ব করেন নি।
ডিমলা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম লিটন বলেন, তুহিন ভাই একজন সাদা মনের মানুষ। বিএনপিকে তিনি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৯৫সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১সালে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি কিন্তু তার উন্নয়ন থেমে থাকেনি।
তিনি যা উন্নয়ন করেছেন আওয়ামীলীগের ১৫বছরের সাথে মুল্যায়ন করলে অনেক বেশি। চরাঞ্চলের মানুষদের ভাগ্যের পরিবর্তনে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয়রা বলছেন, অসংখ্য কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে তুহিনের কারণে। বিএনপির সময়ে যেভাবে উন্নয়নের গতি ছিলো আওয়ামীলীগের সময়ে সেটি আর এগুয়নি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন গণমানুষের নেতা প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রইসুল আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করতেই তুহিনের নামে মিথ্যে মামলা দায়ের করে আওয়ামীলীগ সরকার। তার জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এই উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা। নানা হয়রানী নির্যাতন করেও জনপ্রিয়তা ঠেকাতে পারেনি তার বরং জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে কয়েকগুন। তিনি বলেন, তার শুণ্যতার অভাব সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে।
বিএনপি নেতা কর্মীরা বলছেন, শত শত মিথ্যে মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের হয়রানী করেছে আওয়ামীলীগ সরকার আমলে। নেতারা জেল খেটেছে। রাতের পর রাত বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। পালিয়ে থেকেছেন। এই সবের মাঝেও বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী অবস্থানে মানুষের আস্থা এই বিএনপির উপরেই।
দমন পীড়নের পরও মাথা উঁচু করে আজ বিএনপি চলতে পারছে। নির্বিঘে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারছে। আমরা আশা করছি দ্রুত তুহিন ভাই বীরের বেশে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং আমাদের অবিভাবক হিসেবে আবারো কাজ শুরু করবেন।
উল্লেখ্য তুহিন রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তার পৈতৃক বাড়ী হলো নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার গোমনাতিতে, তার পিতার নাম রফিকুল ইসলাম চৌধুরী যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ও ডীন ছিলেন। তুহিনের মাতার নাম সেলিনা ইসলাম তার মা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন, সে হিসাবে তুহিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে।